Assertion For Justice, Equality And Freedom.

Saturday, July 27, 2013

কেশব রায়, ভাঙারির দোকান থেকে বিশ্ব আসরে - শিশু অধিকার, শিশুবিবাহ বন্ধ, স্যানিটেশন, গর্ভবতী মায়েদের সেবা, ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিলেন। হয়ে উঠলেন জলঢাকা উপজেলা ও রংধনু শিশু ফোরামের সভাপতি।

স্কুলের নাম বিন্যাকুড়ি বিসি সরকারি দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় এই স্কুল। সকালবেলা সার বেঁধে যে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যায়, কেশব রায় ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। বাবা অজিন্দ্র বর্মণ দিনমজুর, মা রঞ্জিতা রায় গৃহিণী। এলাকার শিশু সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন কেশব, নাটক-গানে নিয়মিতই অংশ নিতেন। অভাবের সংসার, তবু ভালোই কাটছিল দিন। হুট করেই বাবা অসুস্থ হলেন। চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। ছোট ভাই রঞ্জিত রায়সহ চারজনের সংসারে ভাত জোটানোই কঠিন। কেশব বাবার বড় ছেলে। ক্লাস সিক্স পেরোনো ছোট মানুষটাকেই তাই নিতে হলো বড় দায়িত্ব। সহপাঠী বন্ধুরা যখন ক্লাস সেভেনের নতুন বই-খাতা কাঁধে নিয়ে স্কুলে যেতে শুরু করল, কেশবের কাজ শুরু হলো ভাঙারির দোকানে। মাসে ৩০০ টাকা মজুরি। স্কুলের পাশেই দোকান। স্কুল শুরু আর ছুটির সময় দোকানের দরজা বন্ধ রাখতেন কেশব; বন্ধুদের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে যাওয়ার ভয়ে, লজ্জায়!  


নীলফামারীর কেশব রায় তখনো জানতেন না, একদিন বিশ্বজোড়া নাম হবে তাঁর। যে মানুষটার ‘এডুকেশনের’ পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তিনিই পাবেন জাতিসংঘের ‘ইয়ুথ কারেজ অ্যাওয়ার্ড ফর এডুকেশন’! ইয়ুথ কারেজ অ্যাওয়ার্ড ফর এডুকেশনের জন্য সারা বিশ্ব থেকে সাতজনকে বাছাই করেছিল জাতিসংঘ। তাঁদের মধ্যে একজন আমাদের কেশব রায়। কেমন করে কেশব এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন, জানতে আমরা চোখ বোলাই কেশবের কাছে জাতিসংঘের শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের লেখা চিঠিতে। তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিটি ছেলেমেয়ের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে তুমি অবদান রেখেছ। এর স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা তোমাকে তরুণদের জন্য অনুসরণীয় একজন নেতা হিসেবে মনোনীত করেছি। তোমাকে অভিনন্দন।’ কেশব এখন জলঢাকা বিএমআই কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্ল্যান বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি এসেছিলেন সাভারের বিসিডিএম (ব্র্যাক সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) কার্যালয়ে। ভাঙারির দোকান থেকে জাতিসংঘের পুরস্কার অবধি পুরো গল্পটা শুনতে আমরা হাজির হই সেখানে। লাজুক লাজুক মুখ করে এক সদ্য কৈশোর পেরোনো তরুণ আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান। দেখলে বিশ্বাসই হতে চায় না, এই মানুষটা প্রায় ২৫টি বাল্যবিবাহ রোধ আর ৫০টি ঝরে পড়া শিশুকে স্কুলমুখী করতে অবদান রেখেছেন। 


জলঢাকার শিশুদের কেশবদা
‘ভাঙারির দোকানে কাজ করছিলাম এক বছর। বাবার শরীরটা একটু ভালো হওয়ার পর আমাদের শিশু সংগঠনের সভাপতি কাঞ্চন রায়কে বললাম, “আপনি বাবা-মারে একটু বোঝান, আমি আবার স্কুলে যাইতে চাই।” কাঞ্চনদা কথা বললেন। বাবা মা-রাজি হইল। শেষ মাসের বেতন পেয়ে ১৫০ টাকা দিয়ে স্কুলে ভর্তি হইলাম, আর ১৫০ টাকা দিয়ে বই-খাতা কিনলাম।’ বলছিলেন কেশব। শুরু হলো আবার কেশবের স্কুলজীবন। প্ল্যান বাংলাদেশের জলঢাকা উপজেলার শিশুদলের সঙ্গে কেশব নিয়মিত কাজ করতে শুরু করলেন। শিশু অধিকার, শিশুবিবাহ বন্ধ, স্যানিটেশন, গর্ভবতী মায়েদের সেবা, ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিলেন। হয়ে উঠলেন জলঢাকা উপজেলা ও রংধনু শিশু ফোরামের সভাপতি।  এলাকার বঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়াতে শুরু করলেন কেশব। পাশাপাশি চলল বাল্যবিবাহ বন্ধের তৎপরতা। 

গল্পের এক ফাঁকে কেশব বললেন মনুফার ঘটনা: ‘২০১২ সালের কথা। এলাকার স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ত মনুফা। আমাদের শিশুদলের সদস্য জুলেখা আক্তার আইসা জানাইল, মনুফার নাকি বিয়ে। আমরা ভাবলাম, একটা কিছু করা দরকার। কয়েকজন মিলে গেলাম মনুফার বাবা আবদুল মান্নান চাচার কাছে। তিনি খুব রাগ হইলেন। আমরা বোঝাইলাম। অল্প বয়সে মা হওয়ার ঝুঁকির কথা বললাম, পড়ালেখার প্রয়োজন বোঝাইলাম। চাচা কিছুতেই মানেন না। শেষে আমরা গ্রাম উন্নয়ন কমিটির মেম্বার আর আমাদের উপজেলার চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে মনুফার বাবার সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁরা বোঝাইলেন, আইনের কথা বললেন। শেষে চাচা বুঝলেন। মনুফা এখন দশম শ্রেণীতে পড়ে, ভালো ছাত্রী সে। আমারে প্রায়ই বলে, “দাদা, আপনার জন্যই পড়ালেখাটা করতে পারতেছি।”’ এ রকম আরও কত ঘটনা কেশবের ভান্ডারে! প্রদেশ চন্দ্র রায় ক্লাস ফাইভে পড়ে। হঠাৎ করেই একদিন বাবা পাগালু চন্দ্র রায় তার পড়ালেখা বন্ধ করে কাজে লাগিয়ে দিলেন। খবর পেয়ে কেশব গেলেন পাগালু চন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, ‘আপনি কি চান বড় হয়ে আপনার ছেলে আপনার মতো ভ্যানচালক হোক?’ প্রদেশ চন্দ্রের বাবা মাথা নাড়েন, তিনি চান না। কিন্তু তাঁর কোনো উপায়ও নেই, একার আয়ে সংসার চলে না। কেশব ব্যাপারটা বুঝলেন। কিন্তু প্রদেশ চন্দ্রের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, সেটাও মানতে পারছিলেন না। ছোট্ট ছেলেটার ভেতরে যে কষ্ট-লজ্জা কাজ করছিল, সেটা কেশবের চেয়ে ভালো কে জানে! বুদ্ধি করে কেশব প্রদেশ চন্দ্রকে সিএমইএসে (সেন্টার ফর ম্যাস এডুকেশন ইন সায়েন্স) ভর্তি করে দিলেন। দরজির কাজের পাশাপাশি এখন চলছে প্রদেশ চন্দ্রের পড়ালেখা। প্রদেশ খুশি, বাবা পাগালু চন্দ্রও  খুশি!


 প্রথম দিকে মানুষের কটু কথা, বকাঝকা শুনতে হলেও এখন বেশ সচেতন হয়েছে জলঢাকা উপজেলার মানুষ। কেশব বলছিলেন, ‘আগে সমস্যা হইত। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গেলে মেয়ের বাবা-মায়েরা বলত, “তুই বিয়ে বন্ধ করতে আসছিস, পরে কি তুই বিয়ের ব্যবস্থা করবি?” এখন এলাকার লোকজন সাহায্য করে। বোঝে, আমরা ভালো কাজ করি।’ সম্মাননা গ্রহণ করতে নিউইয়র্ক যাওয়া হয়নি কেশবের। তাঁর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের নিউইয়র্ক প্রতিনিধি। তবে এরই মধ্যে বিলেত ভ্রমণ হয়ে গেছে তাঁর। শ্রীলঙ্কায় ‘শিশুর সুরক্ষায় শিশুদের অংশগ্রহণ’ বিষয়ক সেমিনার ও সমাবেশে, আর থাইল্যান্ডের শিশু সম্মেলনে প্ল্যানের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছেন কেশব। পড়ালেখা চলছে, সামাজিক কর্মকাণ্ডও চলছে নিয়মিত। তাই বলে ভাববেন না, রাতারাতি কেশবদের দিন বদলে গেছে। দিনমজুরের ছেলে, লাজুক তরুণটি কথায় কথায় জানালেন, ‘আমি পড়ালেখার পাশাপাশি কাজও করি। কয়েক দিন আগে শিলাবৃষ্টিতে ঘরের খুব ক্ষতি হইল। বাবার টাকা দরকার। আমি গেছি বগুড়া, ছোট ভাই গেছে চট্টগ্রামে। দুজন সেইখানে খেতখামারে কাজ করছি। আমি ছয় হাজার, আর ছোট ভাই চার হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছি। বাবার হাতে তুলে দিছি। বাবা-মায়ের কষ্টটা বুঝি। ওই দিকটাও তো দেখতে হবে।’





Source: Doinik Prothom alo



নবজাতক ও বাড়ন্ত শিশুর যত্ন

প্রথম সন্তানের জন্মের পর প্রসুতি মাতা নবজাতকের যত্ন ও অপ্রত্তাশিত অসুখ-বিসুখ নিয়ে অনেক সময় বিপাকে পরে থাকেন। অনেক যত্ন আর প্রতিক্ষার পর যখন মায়ের কোলে তার সবচেয়ে আদরের সন্তান এসে যায়, তখন প্রতিটা মা ই চান, তার সন্তান সব দিক দিয়ে সুস্থ থাকুক এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠুক। কিন্তু অপ্রত্তাসিত পরিস্থিতি ও শিশুদের অসুখ-বিসুখ মায়েদেরকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। তাই মায়েদের এইসব দুশ্চিন্তা দূর করতে নবজাতক  ও বাড়ন্ত শিশুর যত্ন এবং অসুখ-বিসুখের নানান দিক নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন :


নবজাতকের মাথার পেছনে ফোলা?

কোনো কোনো শিশুর জন্মের পর মাথার পেছনে বা পিঠের নিচের দিকে কোনো একটি অংশ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে থাকে। এ নিয়ে অভিভাবকেরা আতঙ্কে ভোগেন ও বিপাকে পড়েন। এটি ভ্রূণের অঙ্গসংগঠনজনিত একটি স্নায়ু সমস্যা। এই ফোলা অংশের ভেতর স্নায়ু বা স্নায়ুরস থাকলে তাকে মেনিনগোসিল বলা হয়। এই সমস্যার জন্য অনেক সময় শিশুর হাত-পা নাড়াতে অসুবিধা বা প্রস্রাব-পায়খানার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে থাকতে পারে মাথার ভেতর পানি জমে মোটা হয়ে ওঠা বা হাইড্রোকেফালাস, বাঁকা পা বা ক্লাব ফুট ইত্যাদি জন্মগত ত্রুটি। এসব ত্রুটির কারণ বলা মুশকিল। তবে গর্ভকালীন সময় উচ্চমাত্রার জ্বর, সংক্রমণ ও নানা ধরনের ওষুধ খাওয়ার কারণে এসব ত্রুটি হতে পারে। এটি জন্মগত ত্রুটি হলেও বংশগত নয়। গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে শিশুর এসব জন্মগত ত্রুটি অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। এ সময় নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড সেবন ও প্রচুর তাজা শাকসবজি খাওয়া উচিত। 
- ডা. সুদীপ্ত কুমার মুখার্জি , নিউরোসার্জারি বিভাগ, জাতীয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল।


শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ পাচ্ছে কি না তা বোঝার উপায় কী?

 শিশু কাঁদলেই যে সে দুধ পাচ্ছে না এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। শিশু যদি ২৪ ঘণ্টায় ছয় বার প্রস্রাব করে তবে আপনি নিশ্চিন্ত হতে পারেন যে বাচ্চা পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাচ্ছে। এ ছাড়া শিশু পরিতৃপ্ত থাকবে এবং ধীরে ধীরে তার ওজন বাড়তে থাকবে। তবে জন্মের পর প্রথম ১৫-২০ দিন শিশুর ওজন সাধারণত একটু কমে, তারপর বাড়তে শুরু করে। একটা জিনিস অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে, সেটা হলো দুধ খাওয়ার সময় সে ঠিকমতো বড় হাঁ করেছে কি না। l       
-ডা. নন্দলাল দাশ, শিশু বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। 



ছয় মাস পরে কী খাওয়াবেন?

বয়স পেরিয়েছে ছয় মাস। শিশুর প্রধান খাবার মায়ের বুকের দুধ তো খাবেই, এ সময় থেকে অন্য খাবারও তাকে দিতে হবে। ছয় মাসের পর থেকে শিশুর প্রথম খাবার অবশ্যই শর্করা দিয়ে শুরু করা উচিত। যেমন নরম ভাত, আলু সেদ্ধ, হজমে সমস্যা না হলে ধীরে ধীরে ফল সেদ্ধ করে দেওয়াটা ভালো। যেমন: আপেল, গাজর, আঙুর, পাকা কলা, পাকা পেঁপে, সেদ্ধ মিষ্টি কুমড়া, সুজি ইত্যাদি।  

শিশুর খাবার ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে বারডেম হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান তাহমিনা বেগম বলেন, ‘শিশুকে প্রতিদিন নতুন রান্না করা খাবার খাওয়াতে হবে। ফ্রিজে রাখা বা বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। শিশুর খাবার খাওয়ানোর বাটি, চামচ ও যিনি খাওয়াবেন তাঁর হাত অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে।’ শিশুকে ছয়-নয় মাস পর্যন্ত অন্য খাবার দিনে তিনবার খাওয়াতে হবে। শিশুকে নতুন খাবার দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন, শরীরের কোথাও র‌্যাশ, বমি বা ঢেকুরের পরিমাণ বেশি হচ্ছে কি না। বাচ্চার কান্নার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গেছে বা পেট ফুলেছে, প্রস্রাব-পায়খানায় পরিবর্তন অনুভব করলে সেই খাবার বন্ধ করতে হবে। অবস্থা বেগতিক মনে হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ৯-১২ মাস পর্যন্ত শিশুকে খাবার দিতে হবে পাঁচ থেকে সাতবার। এই সময় সবজির খিচুড়ি দেওয়াটা খুব উপকারী। সবজি, চাল, ডাল, সয়াবিন তেলে সমস্যা না হলে মুরগির ছোট্ট এক টুকরা মাংস, কলিজা খিচুড়িতে মিশিয়ে খাওয়ান। সবজির মধ্যে আলু, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, গাজর, মূলা, শালগম, পেঁপে খাওয়ানো যেতে পারে। 

- ফারহানা মোবিন।

 

 শিশুর হঠাৎ জ্বর :

জ্বর কোনো রোগ নয়। এটি রোগের উপসর্গ। জ্বরের অন্যতম কারণ নানা ধরনের সংক্রমণ। শিশুদের  সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা, আমাশয় থেকে শুরু করে হাম, বসন্ত এবং আরও জটিল কোনো সংক্রমণ যেমন, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিসের প্রথম লক্ষণ জ্বর। তাই জ্বরকে অবহেলা করা ঠিক নয়।

 শিশুর জ্বর হলে লক্ষ করুন:

১.   ঘাড়ে শক্তভাব, সামনে-পেছনে নড়ায় সমস্যা মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিসের লক্ষণ।
২.   কাশি ও শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন শ্বাস, বুকের খাঁচা ভেতরে ঢুকে যাওয়া, বুকে শব্দ ইত্যাদি হতে পারে নিউমোনিয়ার লক্ষণ।
৩.   শরীরে দানা, দাগ, ফুসকুড়ি থাকলে হাম বা বসন্ত কি না, দেখে নিন। তবে ডেঙ্গু, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা মারাত্মক অ্যালার্জিতে ত্বকে এমন দানা থাকতে পারে।
৪.   শিশু জ্বর সত্ত্বেও স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া ও আচরণ করছে কি না, খেয়াল করুন। শিশু যদি নেতিয়ে পড়ে, অর্ধচেতন দেখায়, শুষ্ক ও পানিশূন্য দেখায়, খিঁচুনি হয় বা শ্বাসকষ্ট হয়, তবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।বেশির ভাগ ভাইরাসজনিত জ্বর কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে তা টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু হেমোরেজিক বা মারাত্মক অন্য রোগের জন্য হতে পারে।গা গরম হলেই জ্বর নয়। শিশুর বগলের নিচে থার্মোমিটার তিন-পাঁচ মিনিট রাখার পর দেহের তাপমাত্রা যদি ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি পাওয়া যায়, তবে জ্বর আছে ধরে নিতে হবে।

বাড়িতে কী করবেন :

l যে বাচ্চা বুকের দুধ পান করে, তাকে বারবার বুকের দুধ দিন।
l  স্বাভাবিক তরল খাবার ও প্রচুর পানি পান করান, যাতে শরীর পানিশূন্য না হয়।
l শিশুর ওজন ও ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়ান বা সাপোজিটরি ব্যবহার করুন।
l ছোট শিশুকে সর্দিকাশির সিরাপ, যাতে জ্বর কমানোর উপাদানও আছে, তা সেবন করানো উচিত নয়। এতে জ্বরের ওষুধের ‘ওভার ডোজ’ হয়ে যেতে পারে। 

l      শিশুর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক (১৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রাখুন। জানালা খুলে রাখুন, যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। প্রয়োজনে ফ্যান ছেড়ে দিন। অতিরিক্ত কাপড়-চোপড় ও কাঁথা বা চাদরের প্রয়োজন নেই। বিশেষত, মাথা ঢেকে রাখবেন না, কারণ ছোট্ট শিশুদের তাপ মাথা থেকেই বেশি নির্গত হয়। জ্বর ছাড়ার জন্য তাপ নির্গত হওয়াটা জরুরি।  
- ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 

শিশুর ডায়রিয়া সারছে না? :

শিশুদের ডায়রিয়া সাধারণত স্বল্পস্থায়ী। পানিশূন্যতা পূরণ, ঘন ঘন বুকের দুধ ও স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না। ৭-১০ দিনের মাথায় প্রায় সব বাচ্চা সুস্থ হয়ে ওঠে। তা ছাড়া বেশির ভাগ ডায়রিয়া ভাইরাসজনিত বলে অ্যান্টিবায়োটিকেরও প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু দুই সপ্তাহের পরও যদি ডায়রিয়া না সারে এবং শিশু গুরুতর বা মধ্যমমাত্রার পানিস্বল্পতায় ভোগে, তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।

—দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়ায় ভোগা শিশুর রোগের কারণ নির্ণয় করার চেষ্টা করতে হবে এবং তার প্রতিকার করতে হবে। শিশুর পানি ও অন্যান্য খাবার বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন উপায়ে প্রস্তুত বা পরিবেশন করা হয় কি না, লক্ষ করুন।
—শিশুর ওজন কমে যাচ্ছে কি না, পানিশূন্যতায় ভুগছে কি না, লক্ষ রাখুন।
—শিশুর খাদ্যতালিকায় প্রয়োজনমতো ক্যালরি, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে কি না, দেখুন। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলে তার ক্ষতিগ্রস্ত আন্ত্রিক ঝিল্লির পর্দা আবার তৈরি হতে পারে এবং তার হজমশক্তির উন্নতি হয়।

—এমন খাবার বা পানীয় শিশুকে খেতে দেবেন না, যা তার হজম হয় না বা মল নরম করে।

—যেসব শিশু বুকের দুধ পান করে না, তার খাবারে গাভির দুধ বা ল্যাকটোজসমৃদ্ধ উপাদান কমিয়ে আনা দরকার। অনেক সময় শিশুর ল্যাকটোজ অসহনশীলতা থাকে ও বারবার ডায়রিয়া হয়।

—দেড় মাস থেকে ছয় মাস বয়সের মধ্যে এক মাস বিরতিতে দুই ডোজ রোটা ভাইরাস টিকা খাওয়ানো হলে তা ডায়রিয়া থেকে অনেকটাই সুরক্ষা দিতে পারে।

—ডায়রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হলে, মলের সঙ্গে রক্ত গেলে বা ওজন দ্রুত কমতে থাকলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

—ডায়রিয়া সেরে যাওয়ার পর ভিটামিন ও খনিজ পরিপূরক এবং জিংক ট্যাবলেট ১০ দিনের জন্য সেবন করতে হবে।
- ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, শিশুরোগ বিভাগ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

  

 শিশুদের কত দিন পরপর কৃমির ওষুধ খাওয়ানো উচিত?  

 আমাদের দেশে দুই বছরের বেশি বয়সের শিশুদের প্রতি ছয় মাস পরপর এক ডোজ কৃমির ওষুধ খাওয়ানো উচিত। কেননা, আমাদের গ্রাম ও শহর দুই জায়গাতেই শিশুর অপুষ্টির একটি প্রধান কারণ হলো কৃমি। দুই বছরের কম বয়সে উপসর্গ থাকলে বা কৃমির উপস্থিতির প্রমাণ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে পারেন।   

-অধ্যাপক তাহমীনা বেগম শিশু বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।

 

 শিশু জন্মের পর মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা কী?

 সন্তান জন্মের পর, সেটা অস্ত্রোপচার আর স্বাভাবিক প্রসবই হোক, মায়েদের খুব কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। পানিশূন্যতা, কম নড়াচড়া ও নানা রকম ওষুধের প্রভাবে এটি হয়। এ থেকে অনেক হার্নিয়া, পাইলস ইত্যাদি জটিলতাও দেখা দেয়। এ সময় প্রচুর পানি ও দুধ পান করবেন। প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার খাবেন। একটু হাঁটাচলা করবেন। প্রয়োজনে ল্যাক্সেটিভ বা সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। 
- ডা. রোনা লায়লা, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ বারডেম হাসপাতাল।

 

শিশুর আদরে সাবধানতা জরুরি :

ছোট্ট শিশুদের কোলে নেওয়ার বা আদর করার সময় সামান্য অসাবধানতায় হঠাৎ করে মস্তিষ্কে আঘাত লাগতে পারে। অনেক সময় বেশি ঝাঁকুনি, কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা বা আঘাত, জন্মগত মাথায় আঘাত বা অসাবধানতাবশত যে মস্তিষ্কের আঘাত ঘটে তা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। বাড়িতে ও বিদ্যালয়ে শিশু নির্যাতনের কারণেও এ রকম আঘাত লাগতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে শেকেন বেবি সিনড্রোম বা ব্যাটার্ড বেবি সিনড্রোম। খুলির ভেতর মস্তিষ্ক একধরনের তরল বা সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডের ভেতর ভাসমান অবস্থায় থাকে। শিশুদের মস্তিষ্ক খুবই কোমল বলে কখনো কোনো আঘাত বা ঝাঁকুনিতে খুলির হাড়ের সঙ্গে ঘষা খেয়ে সহজেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে করে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, চোখের ভেতর বা রেটিনায় রক্তক্ষরণ, স্পাইনাল কর্ডে আঘাত বা মস্তিষ্কের ভেতর পানি জমার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল থাকায় অনেক সময় ঝাঁকুনি বা দুলুনির সময়ও এমন হতে পারে। সাধারণত দুই বছরের নিচে বয়সের শিশুরাই এ ধরনের আঘাত পায়। তবে পাঁচ বছর পর্যন্ত যেকোনো সময় এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। মৃদু আঘাতের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিশুর বেলায় তেমন বড় কোনো সমস্যা না-ও হতে পারে। মাঝারি ও গুরুতর আঘাত পেলে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শিশু মৃত্যুবরণ করতে পারে। রেটিনা আঘাতপ্রাপ্ত হলে চোখের ভেতর রক্তক্ষরণ হয় ও অন্ধত্ব হতে পারে। মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরণ হলে ভেতরে চাপ বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য সমস্যায় শিশু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে, জড়তা, খিঁচুনি, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। শিশুর ঘাড়, কাঁধ বা মাথা ধরে কখনোই ঝাঁকাবেন না। অতিরিক্ত কান্নাকাটি করলে তার কারণ বা অসুবিধার বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করুন, শিশুকে আঘাত করবেন না, ঝাঁকাবেন না বা মারধর করবেন না।

 

 শিশুর মুখে আঙুল?

মুখে আঙুল চোষা শিশুদের একটি অভ্যাস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুরা জন্মের আগে থেকেই সাকিং রিফ্লেক্স বা চোষার প্রবণতা অর্জন করে, মুখে আঙুল চোষা সেই প্রবণতারই অংশ। তবে দুই থেকে চার বছর বয়সের মধ্যে এই প্রবণতা বা অভ্যাস আর থাকে না। তার পরও অনেক শিশু বিশেষ সময়ে মুখে আঙুল দিয়ে থাকে। এ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে বিষয়টিকে উপেক্ষা করাই ভালো। এ অভ্যাস এমনিতেই চলে যাবে। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে জানা দরকার কখন আপনি এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন। এক. চার বা পাঁচ বছর বয়সের পরও অভ্যাসটি রয়ে গেলে তা শিশুর দাঁত ওঠায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দুই. স্কুলগামী শিশুরা এ অভ্যাসের কারণে বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকের হাসাহাসি বা সমালোচনার শিকার হয় এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তিন. শিশু এ অভ্যাসের কারণে বারবার পেটের সংক্রমণে ভুগতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, এ নিয়ে শিশুদের খুব বেশি সমালোচনা বা খেয়াল না করা। বকাবকি বা ধমকাধমকি না করে মৃদুভাবে মাঝেমধ্যে বুঝিয়ে বলতে পারেন। শিশু কোনো ভীতি বা দুশ্চিন্তা থেকে এটি করছে কি না, খুঁজে বের করে প্রতিকার করুন। সংক্রমণ এড়াতে শিশুর হাত সব সময় পরিষ্কার রাখুন। খুব প্রয়োজন হলে দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক।

 

শিশুদেরও ওজন স্বাভাবিক চাই :

কিন্ডারগার্টেনের যেসব শিশু এই মুহূর্তে একটু গোলগাল গোছের, তাদের দেখতে যত মিষ্টিই লাগুক পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণী পৌঁছা অবধি অন্যদের তুলনায় তারা পাঁচ গুণ বেশি মোটা হওয়ার ঝুঁকির  মধ্যে আছে। পরবর্তী সময়ে মানে কৈশোরে মোটা হওয়ার    কারণে তাদের ভবিষ্যৎ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হূদেরাগ ইত্যাদির ঝুঁকিও যাবে বেড়ে। সম্প্রতি শিকাগোতে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনে সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য প্রকাশ করেন। প্রায় আট হাজার শিশুর ওপর পাঁচ বছর ধরে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে পাঁচ বছরের নিচে অর্থাৎ কিন্ডারগার্টেনে পড়ে এমন পশ্চিমা শিশুদের মধ্যে ১৪.৯ শতাংশ অতি ওজন এবং ১২.৪ শতাংশ স্থূলতায় ভুগছে। এই শিশুরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওবেসিটি বা স্থূলতার ৪৫ শতাংশ পূরণ করবে। তাঁরা আরও বলেন, মেয়েদের তুলনায় ছেলে শিশুরা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভোগে, বিশেষ করে নয় বছর বয়সের পর। সম্মেলনে প্রস্তাব করা হয় যে শিশুদের খাদ্যাভ্যাস, খেলাধুলা ও জীবনাচরণের দিকে অভিভাবকদের ছোটবেলা থেকেই সচেতন হওয়া উচিত।  
 সূত্র: আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন।






Source: Doinik Prothom Alo

 

 






Sunday, July 7, 2013

একদিনের নারী অবমাননার কিছু খন্ডচিত্র

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ব্লেড দিয়ে জখম! :

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীর (১৪) দুই হাত ব্লেড দিয়ে জখম করেছেন এক তরুণ। গতকাল শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার নবগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই তরুণের নাম জাহিদ হোসেন (২২)। সদর উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের জাহিদ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের স্নাতক (পাস) প্রথম বর্ষের ছাত্র। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি ও তার স্বজনেরা জানান, দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে জাহিদ তাকে উত্ত্যক্ত করেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় নবগ্রাম এলাকায় জাহিদ মেয়েটির পথ আটকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় জাহিদ প্যান্টের পকেট থেকে ধারালো একটি ব্লেড বের করে মেয়েটির দুই হাতে দুটি পোঁচ দেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান স্থানীয় লোকজন। 

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মেয়েটির ডান হাতে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাঁ হাতেও মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। দুই হাতেই ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। মেয়েটির ভাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি আমরা আগেই জানতাম। কিন্তু বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বোনকে সাবধানে চলাচলের উপদেশ দিয়েছিলাম।’ নবগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জাহিদকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে বখাটেরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে ভিড় জমায়। মেয়েরা প্রায়ই ওই বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে আসছে। এসব বিষয় নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার আলোচনা করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সদর থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর ভাই জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। জাহিদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

মাগুরায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার :

মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই ছাত্রীকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী জিল্লুর রহমানের (২৫) বিরুদ্ধে মামলা হলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মাগুরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ রায় প্রথম আলোকে জানান, জিল্লুর শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ছাত্রীকে কৌশলে বাড়ির পাশে কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে লজ্জা-অপমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছাত্রীর ফুফু তাকে নিবৃত্ত করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এসআই জানান, গতকাল শনিবার মাগুরা সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জিল্লুরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

প্রেম করে বিয়ে, জোর করে তালাক, মেয়ের মৃত্যু : 

প্রেম করে বিয়ে করার পর সালিস বৈঠকের মাধ্যমে ছেলের কাছ থেকে মেয়েকে নিয়ে আসার পর বাবার বাড়িতে গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মেয়েকে বেঁধে রেখে তাঁকে জোর করে তালাকনামায় স্বাক্ষর করানো হয়েছে। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের লাউটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও পরিবার জানায়, ওই গ্রামের সমেশ আলীর ছেলে রূপ মিয়ার (২৪) সঙ্গে প্রেমানন্দ নমদাসের কন্যা বাসনা রানী নমদাসের (১৮) প্রেম হয়। পরে গত ২২ জুন তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় ২৬ জুন মেয়ের বড় ভাই অমূল্য নমদাস (৪০) তারাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে গত সোমবার এ ব্যাপারে স্থানীয় মাতাব্বর প্রদীপ চক্রবর্তীর নেত্বত্বে একটি সালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে বানিহালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত উপস্থিত ছিলেন। সালিসে বাসনা প্রথমে তাঁর বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতে যেতে রাজি হননি। পরে বৈঠকে মেয়েকে রাজি করিয়ে বড় ভাইয়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রতিবেশী লোকজন জানান, বাড়িতে মেয়েটিকে একটি টিনের চালাঘরে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এমনকি রাতে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে রাখত তাঁর পরিবার। এতে মেয়েটি রাগে ও ক্ষোভে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতেন না। গত বৃহস্পতিবার মেয়ের পরিবারের সদস্যরা বাসনাকে একটি তালাকনামায় স্বাক্ষর করতে বললে তাতে মেয়েটি রাজি হননি। পরে একপর্যায়ে তিনি রাজি হন। গতকাল মেয়েটি হঠাৎ তাঁর নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। অবশেষে তিনি মারা যান।  অমূল্য নমদাস বলেন, বৈঠকের পর বাসনাকে ঘরে এনে কয়েক ঘণ্টা রশি দিয়ে বেঁধে রাখলেও পরে খুলে দেওয়া হয়। বাসনা তালাকনামায় স্বাক্ষর করতে প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হন।
ছেলের মা মোমেনা খাতুন বলেন, ‘গত সোমবার এক সালিস বৈঠকে আমার ছেলের কাছ থেকে তাঁরা মেয়েকে নিয়ে যান। এটুকুই আমরা জানি।’ আবুল হাসনাত বলেন, ‘আমরা সালিস করে মেয়েকে তাঁর বড় ভাইয়ের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রথমে মেয়েটি রাজি না হলেও পরে তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে যেতে রাজি হন। শুনেছি, মেয়েটিকে ঘরে প্রায়ই তালাবদ্ধ করে রাখত তাঁর পরিবার।’ তারাকান্দা থানার এসআই এয়াকুব আলী জানান, বাসনার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

 

 

 

 Date: 07-07-2013

Source: Doinik Prothom Alo

Friday, July 5, 2013

Collections of Our Fashion Houses

Some exclusive collections of Sarees and Salwar Kameez of our celebrated fashion houses...




  Mayaseer

 Aohong

 Banglar Mela

 Mantra

Onjons

Rong
 

ইফতারে নানা স্বাদ !

কিমা-আলুর চপ:

উপকরণ: মাংসের কিমা ১ কাপ, আলু আধা কেজি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াসস ১ চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, রসুন বাটা সিকি চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি ফেটানো, টোস্টের গুঁড়া দেড় কাপ, তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে গরম অবস্থায় চটকে নিয়ে তাতে বেরেস্তা, গোলমরিচের গুঁড়া, লবণ, বিট লবণ দিয়ে মাখিয়ে ৮-১০ ভাগ করে রাখতে হবে। মাংসের কিমা সয়াসস, গরম মসলার গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা ও সামান্য লবণ দিয়ে অল্প পানিতে সেদ্ধ করে নিতে হবে এবং সামান্য তেলে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও পুদিনাপাতা দিয়ে ভেজে নিতে হবে। আলুর মধ্যে কিমার পুর ভরে পছন্দমতো চপের আকার করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ও টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিয়ে ডুবোতেলে চপগুলো বাদামি রং করে ভাজতে হবে।


 আলুর দইবড়া:

(বড়ার জন্য) উপকরণ: কুচি করা আলু সেদ্ধ ১ কাপ, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে বড়ার আকারে তৈরি করতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ২ টেবিল চামচ পানি দিয়ে ফেটে আলুর বড়াগুলো ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবোতেলে বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে।
গ্রেভির উপকরণ: টক দই ২ কাপ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেঁতুলের সস আধা কাপ, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ।
দইবড়া তৈরির প্রণালি: তেঁতুলের সস, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া, পুদিনাপাতা কুচি, আদা ও কাঁচা মরিচ কুচি ও জিরা টালা গুঁড়া বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আলুর বড়ার ওপরে ঢেলে দিতে হবে। পরিবেশনের সময় বাকি উপকরণগুলো আলুর দইবড়ার ওপর ছিটিয়ে দিতে হবে।


সবজি আর চিংড়ির টেম্পুরা:

উপকরণ: চিংড়ি ১ কাপ, ওয়েস্টার সস ৪ টেবিল চামচ, কচি ও টাটকা পছন্দমতো সবজি ২ কাপ যেমন—গাজর, বরবটি, শসা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, আলু, ঢ্যাঁড়স, পটোল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ অথবা শীতকালে ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, সিম, টেম্পুরা পাউডার দুই কাপ, লবণ স্বাদমতো, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো, ভাজার জন্য তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: চিংড়ির লেজ রেখে মাথা ও খোসা বাদ দিয়ে ১ টেবিল চামচ ওয়েস্টার সস দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। সব সবজি পছন্দমতো আকারে পাতলা করে কেটে নিয়ে সামান্য লবণ, ৩ টেবিল চামচ ওয়েস্টার সস ও ১ চা-চামচ গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। টেম্পুরা পাউডার, মধু, মরিচ গুঁড়া, লবণ, ১ চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়া ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। তাতে সব সবজি, চিংড়ি, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচে ডুবিয়ে ডুবোতেলে ভেজে ওঠাতে হবে।


ফলের সালাদ: 

উপকরণ: আম কিউব করে কাটা ১ কাপ, আপেল কিউব করে কাটা ১ কাপ, আঙুর টুকরা আধা কাপ, আনারস কিউব ১ কাপ, কলা টুকরা ১ কাপ, পছন্দমতো আরও নানা ফলের টুকরা ১ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, মধু ২ টেবিল চামচ, সালাদ ড্রেসিং ৩ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ সামান্য, বিট লবণ ১ চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ক্রিম ১ কাপ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: বড় বাটিতে ফলের সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে।


ম্যাঙ্গো কোলাডা:

উপকরণ: আমের ঘন শাঁস ২ কাপ, আমের ফ্লেভারের জুস তৈরির পাউডার ৪ টেবিল চামচ, চিনি ৪ টেবিল চামচ, মধু ২ টেবিল চামচ, ঠান্ডা পানি ৪ কাপ, সোডাপানি প্রয়োজনমতো, পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো।
প্রণালি: সোডা বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গ্লাসে অর্ধেক নিয়ে নিতে হবে। ওপর থেকে সোডা ঢেলে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।











Source: Doinik Prothom Alo

Wednesday, July 3, 2013

রূপগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ !! নরপিশাচ স্বামী গ্রেপ্তার - আমরা হতবাক !

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম ইমদাদুল হক ওরফে পাভেল। তিনি রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহর ছেলে। ওই গৃহবধূ গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নগরে র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। গৃহবধূর বাড়ি রূপগঞ্জের রূপসীর সাইনবোর্ড এলাকায়। তবে বিয়ের আগে তিনি ঢাকায় বনানীতে মামার বাসায় থেকে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়তেন। ২০১০ সালে তিনি ইমদাদকে ভালোবেসে বাবা-মায়ের অমতে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই ইমদাদ যৌতুকের দাবিতে মারধর করা শুরু করেন। ২০১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁদের একটি কন্যাসন্তান হয়।
 
গতকাল কাঁদতে কাঁদতে ওই গৃহবধূ বলেন, ‘ইমদাদ আমার মুখে জোর করে মশা মারার ওষুধ ছিটায়, যাতে মরে যাই। এরপর ধাক্কা দিয়ে বাথরুমে আটকে রাখে। আমি বলেছি, তুমি নেশা করো, যেখানে-সেখানে যাও। আমি তোমার কাছে থাকব না। এটা বলায় আমার মুখের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে। গলা দিয়ে রক্ত পড়ে, তবু আমাকে ছাড়ে না। কিছু থেকে কিছু হলে ওর (ইমদাদ) মা, বাবা আমার চুল ধরে মাটিতে ফেলে মারতে মারতে যা করে, কোনো মানুষ এভাবে মারে না। শবে বরাতের পরদিন রাতে মদ খেয়ে এসে ইমদাদ আমার হাতে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দেয়। বলে, আমার মুখে ইস্ত্রি লাগিয়ে মেরে ফেলবে।’ র‌্যাব-১১-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম জানান, নির্যাতিত গৃহবধূ সোমবার বিকেলে র‌্যাবের কাছে ফোন করে তাঁকে ঘরের ভেতর দিনের পর দিন আটকে রেখে নির্যাতনের বিষয়টি জানান। পরে রাতে র‌্যাব-১১-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁকে (গৃহবধূ) ও তাঁর শিশুসন্তানকে উদ্ধার করে এবং স্বামী ইমদাদকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ইমদাদের লোকজন র‌্যাবের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যান তাঁর বাবা চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ।  রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ইমদাদকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ইমদাদের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।








Source:  Dainik Prothom Alo

Jamdani, Cotton of Bengali Origin



Jamdani is the big part of our rich heritage.It is a fabric of fine cotton of Bengali origin,with coloured stripes and patterns.It has been spoken of as the most artistic textile of the Bangladeshi weaver.

 
Traditionally woven around Dhaka and created on the loom brocade,it is also fabulously rich in motif.A Bengali woman's wardrobe is simply incomplete without this elegant piece.
Though mostly used for saris and it is also used for Kameez,and scarves.Jamdani is believed to be a fusion of the ancient cloth making techniques of Bengal(perhaps 2,000 years old).

Because of its complicated designs,it always considered as the most expensive productions of Dhaka looms. There are many branded shops which are producing jamdani and the first name that comes on mind is AARONG.

Monday, July 1, 2013

প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার !

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় গত শুক্রবার গভীর রাতে বাক্প্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

সূত্রের ভাষ্যমতে, শুক্রবার গভীর রাতে কয়েকজন বখাটে যুবক বসতবাড়িতে ঢুকে বাক্প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার বড় ভাই পাশের বাজার থেকে বাড়িতে এলে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। গতকাল রোববার ওই কিশোরীর ভাই তিন যুবকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা করেছেন।






Source: Dainik Prothom Alo

 
Our Another Site : Right Way BD | Right Way BD FB Group | Right Way BD FB Page |