Assertion For Justice, Equality And Freedom.

Wednesday, June 19, 2013

‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সম্মিলিত উদ্যোগ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলন নেপালে - সহিংসতা বন্ধে নীরবতা ভেঙে নারীদের সরব হওয়ার আহ্বান


সম্মেলন থেকে বিশেষ কোনো ঘোষণা আসেনি। আয়োজকদের দাবি, দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে এই দল কীভাবে কাজ করবে এবং কে কীভাবে সহায়তা করবেন, তার উপায় খুঁজে বের করতেই অংশগ্রহণকারীরা প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা করেছেন। এর মাধ্যমে বর্তমান নীতি, আঞ্চলিক সংলাপ ও সহযোগিতার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাংক ও অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনের ওই সম্মেলনে মোট ছয়টি সেশনে ৪০ জন বক্তব্য দেন। গত সোমবার সম্মেলনে বক্তৃতা করেন নেপালের শিক্ষামন্ত্রী মধাব পাওডেল, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসাবেল গুয়েরো, ভারতের অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিশা আগারওয়াল প্রমুখ। মধাব পাওডেল বলেন, এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সম্মেলনে যেসব সুপারিশ আসবে, তা কাজে লাগিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
 
বিশ্বব্যাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুয়েরো বলেন, সহিংসতা বন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেক নারীকে নীরবতা ভেঙে বের হয়ে আসতে হবে, মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য করা চলবে না। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের সিইও বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সবার যৌথ উদ্যোগে কাজ করার পাশাপাশি পিতৃতান্ত্রিক মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্মেলনে কয়েকজন বক্তা বলেন, পাকিস্তানে ন্যায়পাল নিয়োগ দেওয়ার কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানি অনেক কমেছে। বিষয়টি দৃষ্টান্ত হতে পারে বলেও মনে করেন তাঁরা। বেসরকারি সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এসব সংস্থা কোনো ঘটনা ঘটলেই শুধু তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এনজিওগুলোকে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে কাজ করার আহ্বান জানান কয়েকজন বক্তা। তাঁরা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সম্পত্তি বণ্টনের সময় নারী তাঁর প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে দরিদ্র নারী বিষয়টি বোঝেন না বা প্রতিবাদও করেন না। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের এসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা পালন করতে হবে।
 
সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেওয়া তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারী আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। বিশেষ করে নারীর আর্থিক ক্ষমতায়নে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ থেকে সাংসদ শাহীন মনোয়ারা হক, অধিকারকর্মী শিরিন হকসহ কয়েকজন সম্মেলনে যোগ দেন। দুই দিনের সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের মৈত্রী দাস; পাকিস্তানের মালিহা হোসেন ও মোহাম্মদ ওয়াসিম; ভারতের রঞ্জনা কুমারী, নিরঞ্জন সাগুরটি ও রাভি বার্মা; ভুটানের পিনটোশো; নেপালের রেনু রাজভান্ডারি ও স্বপ্না প্রধান মাল্লা; শ্রীলঙ্কার অনুশাহ ও কামানি জিনাদাসা; মালদ্বীপের আয়েশা রিজনা ও আনিসা আহমেদ; জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরি এলেসবার্গ; আয়ারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটা ডাব্বুরি; ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জে জি সিলভারম্যান; অভিনেতা রাহুল বোস প্রমুখ।






Source: Dainik Prothom alo

Sunday, June 9, 2013

পাত্র পছন্দ হলে কালই বিয়ে করব: শাবনূর


বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। প্রয়াত চলচ্চিত্রনির্মাতা এহতেশামের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটেছিল তাঁর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাবনূর উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি। কিন্তু কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্রের একসময়ের এই ব্যস্ত তারকা কিছুটা অনিয়মিত। এখন নিয়মিত বলা যায় শুধু তাঁর অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ আসা-যাওয়ার বিষয়টাই। এমনকি শাবনূর যে দেশে আসেন কিংবা দেশ ছাড়েন, সেটাও নীরবেই ঘটে। সপ্তাহ দুয়েক আগে আবারও অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি। এখন আছেন সিডনিতে। গতকাল রোববার নানা বিষয় নিয়ে প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন শাবনূর। তাঁর সঙ্গে যখন কথা হয়, তিনি তখন সিডনিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেছেন। শাবনূরের সঙ্গে কথা বলেছেন মনজুর কাদের।

হঠাৎ করে ওজন কমাতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন...

হঠাৎ হঠাৎ ওজন বেড়ে যায়, তাই ওজন কমাতে হয়। আর এটা করি শুধু নিজের তাগিদে।

আর কত দিন নিজেকে নায়িকা হিসেবে দেখতে চান?

এটা আসলে বলা যায় না। আমি নিজে নায়িকা থাকতে চাইলেই তো হবে না। দর্শক যত দিন চাইবে, তত দিন নায়িকা হিসেবে দেখতে চাই। আমি নিজেও দেখেছি, দর্শক আমাকে নায়িকা হিসেবেই দেখতে চাইছে।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া আসা-যাওয়াটা আপনার নিয়মিতই হয়ে গেছে। এর কী কারণ?

আমার ভাই-বোনেরা অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছে। তারা ওই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছে। আমার পরিবারের অন্য সদস্যরাও এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কারণেই বছরের তিনটা মাস অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে হয় আমাকে। কয়েক বছর ধরেই গ্রীষ্মের ছুটির সময়টা আমি কোনো শুটিংয়ের শিডিউল রাখি না। ওই সময়টায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকি। আর এটা সবাই জানেন।

সেখানে কি থিতু হওয়ার কথা ভাবছেন?

পৃথিবীর অনেক দেশেই ঘুরেছি আমি, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এত শান্তি কোথাও পাইনি। আমি এ দেশেরই নাগরিক। এই দেশ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আজকে আমি যে শাবনূর, তা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার জন্যই। তাই অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হওয়ার ব্যাপারে আমার নিজের কোনো ইচ্ছা নেই।

অনেক নির্মাতারই অভিযোগ যে আপনি ঠিকঠাক শিডিউল না মেনে অস্ট্রেলিয়া আসা-যাওয়া করায় ছবির শুটিং তাঁরা সময়মতো শেষ করতে পারেননি...

আমি আগেই বলেছি, অস্ট্রেলিয়ায় আমার যাওয়া-আসার বিষয়টি পরিচালক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবাই জানেন। এখন কোনো ছবির শিডিউল দেওয়ার পর যদি সেই পরিচালক তাঁর জন্য নির্ধারিত সময়ে ছবির শুটিং শেষ করতে না পারেন, তাহলে তার দায়ভার শিল্পী হিসেবে আমি কেন নিতে যাব! এ ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে নির্মাতা ও প্রযোজকের ওপর। সঠিক সময়ে ছবির শুটিং শেষ করতে না পারার জন্য শিল্পীরা কোনোভাবে দায়ী নন বলেই আমি মনে করি।

আপনার বিয়ে নিয়ে বারবারই নানা কথা রটেছে। এ বিষয়ে আপনিও কখনোই সরাসরি কিছু বলেননি। বিয়ে নিয়ে আপনার কী বক্তব্য?

বিয়ে খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। মেয়ে হয়ে জন্মেছি যেহেতু, আজ অথবা কাল বিয়ে করতেই হবে। আর যখন বিয়ে করব, তখন বলব। এতে কোনো সমস্যা দেখছি না। গুজবের খবরে অনেকবারই বিয়ে দেওয়া হয়েছে আমার। এটা আমি নিজেও শুনেছি। একেক সময় একেকজনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমি কখনোই বিচলিত হই না। এগুলো আমি মজা হিসেবেই নিই। তবে আমি বলতে চাই, এখনো বিয়ে করিনি, করলে অবশ্যই জানাব।

বিয়ে নিয়ে আপাতত কোনো ভাবনাও নেই?

বিয়ে নিয়ে এখন কিছুই ভাবছি না। কেউ যদি কাল এসে বিয়ে করতে চান এবং আমার যদি পাত্র পছন্দ হয়ে যায়, তাহলে কালই বিয়ে করে ফেলব।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আপনাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। আপনি সে চলচ্চিত্রের জন্য কি কিছু ভাবছেন?

আমি যখন কাজ শুরু করি, তখনো ভাবিনি শাবনূর হব। মন দিয়ে কাজ করে গেছি। আর তাই আমি কখনো মনে করি না ভেবেচিন্তে কিছু করা যায়। চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক কিছুই করার ইচ্ছা আছে। আমি চলচ্চিত্রে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার স্বপ্ন দেখি। চলচ্চিত্রনির্মাতা হিসেবে যা করা যায়, তা করে যাব।

আপনাকে নিয়ে এত গুজব রটে কেন? গুজব উপভোগ করেন?

গুজব মাঝেমধ্যে কিন্তু অনেক ভালো। আর আমি নিজেও গুজব খুব উপভোগ করি। আমি তো এহতেশাম দাদুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছিলাম। শুরুর দিকেও নানা ধরনের গুজব আমাকে নিয়ে হতো। এখনো চলছে। বলতে পারেন, গুজব আমার পিছু ছাড়েনি। প্রথম দিকে এসব গুজব আমাকে বেশ ভাবাত। পরে আমি বিষয়গুলো নিয়ে এহতেশাম দাদুর সঙ্গে কথা বলতাম। তিনি আমাকে বলতেন, “তোমাকে নিয়ে সবাই ভাবে. তাই গুজব উঠছে। আর যেদিন তোমার কোনো অবস্থান থাকবে না, সেদিন তোমাকে নিয়ে কেউ কোনো গুজব ছড়াবে না।” তবে আমাকে নিয়ে এখনো যখন নানা গুজব হয়, তখন মনে হয় আমি ফুরিয়ে যাইনি।
 ুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো

 
Our Another Site : Right Way BD | Right Way BD FB Group | Right Way BD FB Page |