কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় দুই কিশোরীকে
ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট দৌলতপুরের হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নে এক
কিশোরী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন ওই কিশোরী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।
পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত না করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার পরামর্শ
দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত রোববার প্রথম আলোয় ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা
না নিয়ে মীমাংসার পরামর্শ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ ও
স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান উৎকোচ নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার পাঁয়তারা
করেন।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, রোববার সন্ধ্যায় প্রথম আলোয় সংবাদটি দেখার পর তিনি তাৎক্ষণিক দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। ইউএনও শামীমুল হক পাভেল রাতেই মেয়েটির বাড়িতে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হাজির হন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ইউপি সদস্য মজিবর রহমান, ধর্ষণে অভিযুক্ত জুয়েল ও তাঁর বাবা মারু মালিথাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবাইদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরীর করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে গতকাল সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে উপজেলার ইকড়ী ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী কিশোরীর (১২) বাবা ও মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় আতরখালী গ্রামের মো. সুজন (৩৫) মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সুজন পালিয়ে যান। মেয়েটিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভান্ডারিয়া থানার এসআই আবদুল হক বলেন, ছেলেকে পালাতে সহযোগিতা করায় সুজনের বাবা দেলোয়ার হোসেনকে রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো, বাংলাদেশ।