ফ্যাশনপ্রেমীদের
কাছে শখের শাড়ি একটাই হবে এমন চাওয়াটা দোষের নয়। খুব দামি হতেই হবে তা নয়,
তবে সংগ্রহের শাড়িটি হবে এক্সক্লুসিভ। রং, নকশা, বুননে অনন্য একটি শাড়ি
থাকুক পোশাক সংগ্রহে, যা আর কারও কাছে নেই। এই আত্মতৃপ্তি অনেককেই আনন্দ
দেয়। আর তাদের জন্যই ডিজাইনাররা তৈরি করেন এক্সক্লুসিভ সব শাড়ি। এমন পোশাক
বা শাড়ি বাজারে বিকোবেনা হরেদরে। বাজারে গেলেই দেখা মিলবে না এমন শাড়ির।
তারকাদের অনেকেই পরেন এমন এক্সক্লুসিভ শাড়ি। কিন্তু ফ্যাশন সচেতনেরাও
ইদানীং খোঁজ করছেন এবং সংগ্রহে রাখছেন এসব শাড়ির।
অভিনেত্রী
জয়া আহসান পোশাকের রং, উপকরণ, প্যাটার্নের ক্ষেত্রে একটি নিজস্ব ধারা মেনে
চলেন। জয়া বলেন, ‘আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই এবং আভিজাত্য প্রকাশ
করে আমি তেমন পোশাকই নির্বাচন করি। একটু বেছে, একটু অন্য রকম কিছু পরার
চেষ্টা করি। তবে অবশ্যই আমার স্টাইল বজায় রেখে। এটাই পোশাকের ক্ষেত্রে আমার
সিগনেচার। সাধারণত আমার আনুষ্ঠানিক শাড়ির উপকরণটা হয় লেইস, মসলিন বা ফরাসি
শিফন।’ আর পাঠক দর্শকরাও খেয়াল করে থাকবেন জয়া আহসানের প্রতিটি শাড়িই একটি
অন্যটির চেয়ে আলাদা।
ড্রেসিডেল
বরাবরই শাড়ি তৈরি করে একটু অন্য রকম ধাঁচে। দেখা গেল কোনো একটি শাড়ি
এক্সক্লুসিভ বা বিশেষ রংয়ে করার জন্য তারা ডাই করে কাপড়ের রংই বদলে ফেলেছে।
আর তাতে প্রিন্ট, প্যাচওয়ার্ক পাইপিং, এমব্রয়ডারির সমন্বয়ে তা হয়ে ওঠে
অনন্য। ড্রেসিডেলের প্রধান নির্বাহী মায়া রহমান বলেন, ‘আমাদের সবগুলো শাড়িই
অনন্য। শিফন, তসর, মসলিনে যেমন আমরা নিজস্ব ডিজাইনে প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি,
পাইপিং, পুঁতির ব্যবহার করি, তেমনিভাবে জামদানির প্রচলিত নকশার সঙ্গে
আমাদের নিজস্ব নকশার সমন্বয় ঘটানো হয়। তাঁতিদের দিয়ে তা বিশেষভাবে বোনানো
হয়। আর এভাবেই তৈরি হয় ড্রেসিডেলের এক্সক্লুসিভ শাড়ি।’ বাংলাদেশের শাড়ি
প্রেমীদের মধ্যে এক্সক্লুসিভ এইসব শাড়ি কালেকশনের আগ্রহ এখন লক্ষ্যনীয়। আর
তাই অনেক ডিজাইনাররাই তৈরি করছেন এই ধরনের এক্সক্লুসিভ শাড়ি।
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো, বাংলাদেশ।